কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী ধর্ষণকাণ্ড আদ্যোপান্ত বিবরণ - ২৬.৬.২০২৫

  • মুরাদনগরে দরজা ভেঙে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫

মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী ওই নারী প্রায় ১৫ দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে বাবার বাড়ির পাশে পূজা হচ্ছিল। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গিয়েছিলেন; তিনি বাড়িতে একা ছিলেন। আনুমানিক ১০টার দিকে ফজর আলী (৩৮) নামের এক ব্যক্তি তাঁর বাবার বাড়ি গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলেন। এ সময় তিনি দরজা খুলতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

 

ওই নারীর পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ওই নারীকে উদ্ধার করি। এ সময় কিছু লোক তাঁকে মারধর ও ভিডিও করেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তখন লোকজন ফজর আলীকে মারধর করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ তাঁকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

এ ঘটনায় একটি ভিডিও গতকাল শনিবার রাতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করার পর অভিযানে নামে পুলিশ।

  • চিৎকার শুনে ছুটে আসা স্থানীয়রা ধর্ষণের শিকার নারীকেই মারধর করে

কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলার পর মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিনি যখন সাহায্য চাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ বলছে, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এরপর তারা অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধর করা ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।


ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাঁর বাড়িতে গিয়ে দরজার বাইরে থেকে ডাক দেন। দরজা না খোলায় ফজর আলী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন।

ধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারা প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এবং সেই অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারে, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার। তখন স্থানীয়রা ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফজর আলী হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।

পরদিন শুক্রবার রাতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় হয়। এরপর পুলিশ ওই নারীকে থানায় যেতে উদ্বুদ্ধ করে। গতকাল শনিবার রাতে তিনি মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।

স্থানীয়রা বলছে, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তারা শুরুতে বিষয়টি না বুঝে ভুল করেছে। পরে যখন আসল ঘটনা জানতে পারে, তখন লজ্জায় পড়ে। যারা ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদেরও বিচারের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।

 

  • কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী ধর্ষণ মামলায় মূল অভিযুক্ত ফজর আলীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের উত্তেজনা এড়াতে মামলাটি প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছেন, ভুক্তভোগী। আর ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন, এলাকাবাসী 

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেননি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তাঁকে সহায়তা করি। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।


  • মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড; কে কাকে শায়েস্তা করলো? পরিকল্পনা কার? 

  • মুরাদনগরে ধ'র্ষ'ণে'র ঘটনায় মূল আসামিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

 

▪️ কারা কারা গ্রেফতার হলো ❓
কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর মূল অভিযুক্তসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফজর আলী (৩৮),মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
▪️মারধর নিয়ে ভুক্তভোগীর বক্তব্য কী ❓
ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিনি যখন সাহায্য চাচ্ছিলেন, তখন তাঁকে মারধর করা হয়। তাঁর ভিডিও ধারণ করা হয়, যা পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
▪️পুলিশের নজরে আসে কবে ❓
পুলিশ বলছে, ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি তাঁদের নজরে আসে। এরপর তাঁরা অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে (৩৮) ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে আরও চারজন—মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারধর করা ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
 
  • মুরাদনগরের ঘটনায় যা জানাল পুলিশ সুপার

 
 

 
▪️ প্রবাসীর স্ত্রী সেই নারীর পরকীয়া ছিল কি ❓
ভুক্তভোগী নারীর ভাষ্যমতে, তিনি প্রায় ১৫ দিন আগে সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তাঁর বাড়িতে গিয়ে দরজার বাইরে থেকে ডাক দেন। দরজা না খোলায় ফজর আলী ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁকে ধ*র্ষণ করেন।স্থান ও সময়ঃ ২৬শে জুন, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ; কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর পাচকিত্তা গ্রাম।
▪️ফজর আলী পালালো কীভাবে ❓
ধর্ষণের পর ওই নারী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। কিন্তু তারা প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো নারীকেই দোষারোপ করে মারধর শুরু করে এবং সেই অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা বুঝতে পারে, ওই নারী আসলে ধর্ষণের শিকার। তখন স্থানীয়রা ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফজর আলী হাসপাতাল থেকে কৌশলে পালিয়ে যান।ওই নারীর পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাড়িতে অনেক শব্দ হচ্ছিল। আমি ভয়ে দৌড়ে গিয়ে লোকজন ডেকে নিয়ে আসি। লোকজন গিয়ে দেখেন দরজা ভাঙা। পরে আমরা ওই নারীকে উদ্ধার করি। এ সময় কিছু লোক তাঁকে মারধর ও ভিডিও করেন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। তখন লোকজন ফজর আলীকে মারধর করেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’ ওই হাসপাতাল থেকে ফজর আলী পালিয়ে যান। পরে আজ (২৯শে জুন) তাকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
▪️ভিডিয়ো কবে ছড়ায় ❓কেন প্রথমে না করা হয় যে ভিডিয়ো তার না ❓
পরদিন শুক্রবার রাতে সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে তোলপাড় হয়। এরপর পুলিশ ওই নারীকে থানায় যেতে উদ্বুদ্ধ করে। গতকাল শনিবার রাতে তিনি মুরাদনগর থানায় মামলা করেন।
প্রথমে সম্মানের ভয়ে সকলে ধর্ষণ স্বীকার করলেও ভিডিয়ো ঐ নারীর নয় বলেই জানান, কেননা ভিডিয়ো করেছে মো. সুমন, রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক। কিন্তু পরে বেশী ভাইরাল হয়ে যাওয়ায় ও সুবিচার নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভিডিয়ো তার বলে জানান। কেননা তখনো ভিডিয়ো অস্বীকার করলে সম্মানের বদলে অপরাধটাও চাপা পড়ে যেত এবং গুজব-ষড়যন্ত্র বলা হতো।
▪️স্থানীয়দের ভ্রান্তি
স্থানীয়রা বলছেন, ওই নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তাঁরা শুরুতে বিষয়টি না বুঝে ভুল করেছেন। পরে যখন আসল ঘটনা জানতে পারেন, তখন লজ্জায় পড়েন। যারা ভিডিয়ো করে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাদেরও বিচারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
▪️পুলিশের বক্তব্য
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে ওই নারী থানায় অভিযোগ করেননি। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আমরা বিষয়টি জানতে পারি এবং তাঁকে সহায়তা করি। তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
 
  • কুমিল্লার মুরাদনগরের ধর্ষণের ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার পাঁচ জন

 
 

 
 
সূত্র: আজকের পত্রিকা, প্রথম আলো, বিবিসি বাংলা, সমকাল

 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন