ঢাকা-রাজশাহী বাসে হিন্দু বিবাহিত মহিলাকে ডাকাতদল কর্তৃক টার্গেট করে ধ*র্ষণ অভিযোগ~ ২০.২.২৫


 

ঢাকা-রাজশাহী বাসে হিন্দু বিবাহিত মহিলাকে ডাকাতদল কর্তৃক টার্গেট করে ধ*র্ষণ অভিযোগ
ঢাকা-রাজশাহী বাসে সম্প্রীতি ডাকাতদল কর্তৃক ডাকাতি ও ধ*র্ষণের ঘটনায় মিডিয়ার নীরবতা অত্যন্ত সন্দেহজনক। অবশেষে তিন দিন পর বিবিসি বাংলা একটি প্রতিবেদন করেছে। এখানকার সবচেয়ে আশ্চর্যের জায়গা হলো, ডাকাতদল বেছে বেছে দুইজন মহিলার সাথে শ্লীল*তাহানি করেছে গয়না বা মোবাইল লুট করে নেয়ার জন্য। এর ভেতর দুইজনের ঘটনা উল্লেখযোগ্য। বিবিসি বাংলায় দেয়া যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী, এদের ভেতর একজনকে সিটে বসে শরীরে নানা জায়গায় অশালীন স্পর্শ করা হয় এবং হিন্দু বিবাহিত মহিলাকে (আমরা জানি হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের শাখা সিঁদুর দিয়ে সহজে আইডেন্টিফাই করা যায়) স্বামীর কাছ থেকে সরিয়ে পেছনে নিয়ে গিয়ে গণধ*র্ষণ করা হয়। বাংলাদেশ অগ্নিবীর উপর্যুক্ত ঘটনার তদন্তের দাবি জানায় । ধ*র্ষ*ণ ব্যতীত শ্লী*লতা*হানি হলেও তা গুরুতর অপরাধ তাই কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি অপরাধীদের প্রাপ্য। 
 
বিবিসি বাংলায় দেয়া যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী রিপোর্ট থেকে কিয়দাংশ-
"ওই দুইজনের সিট ছিল বাসের মাঝামাঝি। তাদের মাঝে একজন হিন্দু, তার সাথে তার স্বামীও ছিলেন," বলছিলেন মি. হাসান।
ডাকাতরা প্রথমে ওই নারীর কাছে যা যা ছিল, সব নিয়ে নেয়।
"এরপর চিকন করে একজন ছেলে আমাদের সামনেই ওই মহিলাকে টানতে টানতে জোর করে পেছনের সিটে নিয়ে চলে যায়। ওর স্বামী বাধা দিতে গেলে স্বামীকে অনেক মা*র*ধ*র করে," বলেন সোহাগ হাসান।
"এরা যে পরিমাণ... উনি ধ*র্ষ*ণেরও শিকার হয়েছে। পিছে নিয়ে গেলে উনি অনেক চিৎকার করছিলো। ওদিকে আমাদের যেতে দিচ্ছিলো না। আমরা শুধু চিৎকারের আওয়াজ পাচ্ছিলাম। জোরে জোরে কাঁ-দতেছিলো। কিন্তু ওখানে আমাদের কিছুই করার ছিল না।"
একটু থেমে তিনি আরও বলেন, "ধ*র্ষ*ণ না করলে কেউ এ্ররকম চিৎকার করবে না।"
দ্বিতীয় যে নারীর কথা বলা হচ্ছে, তার বিষয়ে সোহাগ হাসান বলেন, "আরেকজন মহিলা, ২৫-৩০ বছর বয়স হবে। ওনার সবকিছুই নিয়ে নিছে। উনি আমাদের দুই সিট সামনে ছিল। আমাদের তাকাইতে দিচ্ছিলো না। ওনার গায়ের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিচ্ছিলো। আমরা যখন বারবার প্রতিবাদ করতে যাচ্ছি, তখন আমাদের মা*রতে চেষ্টা করে...পেছনে শুধু হিন্দু মেয়েটাকেই নিয়ে যায়। আর ওনার সাথে সিটের ওখানে বসেই জোরজবরদস্তি করে।"
বিবিসি বাংলায় দেয়া যাত্রীদের বর্ণনা অনুযায়ী রিপোর্ট থেকে কিয়দাংশ-
বড়াইগ্রামের পুলিশ যদিও বলছে যে ধর্ষণের বিষয়ে তারা কিছুই জানে না, কেউ কিছু বলেনি।
কিন্তু মজনু আকন্দ ও সোহাগ হাসান, দু'জনেই বলছেন যে ওই নারীরা সবার সাথে বড়াইগ্রামেই নেমেছিলো এবং পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছিলো।
সোহাগ হাসানের ভাষায়, "উনি (হিন্দু নারী) বাস থেকে নামার পর ওনার কান্নাকাটি দেখে আমরা সবাই ভেঙে পড়ি। উনি পুলিশের সামনে মান-সম্মানের পরোয়া না করে যতটুকু বলা যায়, বলছে। থানায় যা বলেছিলো... আর ভেঙে বলার দরকার নাই, আমরা তো কিছুটা বুঝি...।"
"ওই দুই নারী বড়াইগ্রামেই নেমে পুলিশের কাছে মুখে মুখে জবানবন্দি দিয়ে অন্য বাসে করে নিজ নিজ বাসায় চলে গেছে। মেয়ে দুইটা আমার ফোন থেকে বাসায়ও কল দিছিলো। কিন্তু ওইদিন আমার ফোন থেকে ৪০ জনের বেশি কল দিছে," বলছিলেন তিনি।
বাসের চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজারকে আটক করা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় আটককৃতরা জামিন পেয়েছে বলে জানা গেছে।
পুনরায় বাংলাদেশ অগ্নিবীর উপর্যুক্ত ঘটনার তদন্তের দাবি জানায় । ধ*র্ষ*ণ ব্যতীত শ্লীল*তা*হানিও অপরাধ তাই কঠিন থেকে কঠিন শাস্তি তাঁদের প্রাপ্য।
সম্পূর্ণ নিবন্ধ বিবিসি বাংলার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে লেখা ।
 
▪️উক্ত রিপোর্ট  - https://www.bbc.com/bengali/articles/cjd35n58y7jo
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন