রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পূজার ব্যানার ছিড়ে ফেলা হলো দিনেদুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের প্রধান ফটকে সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীদের টানানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের তৎপরতা মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন বিভাগের সনাতন ধর্মাবলাম্বী শিক্ষার্থীরা। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ সোমবার বিকেলে (২৭ জানুয়ারি) ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন তারা। এতে বিভাগের ১০ জন সনাতন ধর্মাবলাম্বী শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছেন।
লিখিত অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, আমরা ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ ১৪৩১ বঙ্গাব্দের সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছি। এই উপলক্ষে সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে ফোকলোর বিভাগের সামনে গতকাল ২৬ জানুয়ারি একটি ব্যানার টানাই। ব্যানারটি আজ সকাল ১১ টা ৩২ মিনিটে জনৈক দুষ্কৃতিকারী পরিকল্পিতভাবে ছিঁড়ে ফেলে। ঘটনাটি ফোকলোর বিভাগের সিসি ক্যামেরায় স্পষ্ট ধরা পড়েছে। এটিকে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের তৎপরতা বলে মনে করছি। ঘটনাটিকে বর্তমান ক্যাম্পাসের শান্ত পরিবেশের জন্য হুমকি বলে বিবেচনা করছি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এই চক্রান্তকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে একজনকে ব্যানার ছিঁড়তে দেখা গেছে। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে অবগত করেছি। কিছুদিন আগে কোরআন পোড়ানোর ঘটনা, আজকে পূজার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা। এগুলো আসলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের তৎপরতা। যারা এসবের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পত্রটি এখনো আমার হাতে পাইনি। তবে বিভাগের সভাপতি আমাকে ফোন দিয়েছিল। এখন বিষয়টি নিয়ে আগামীকাল তাদের সাথে কথা বলব। এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্তঃ
ভিডিয়োঃ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন