১৮ ন‌ভেম্বর ২২ বছর পূর্ণ হ‌চ্ছে: বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ার ১১জন‌কে পুঁড়ি‌য়ে হত্যার বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা হারিয়েছে নিহ‌তের স্বজ‌নেরা



 ১৮ ন‌ভেম্বর ২২ বছর পূর্ণ হ‌চ্ছে: বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ার ১১জন‌কে পু/ড়ি‌য়ে হ/ত্যার বিচার পাওয়ার প্রত্যাশা হারিয়েছে নিহ‌তের স্বজ‌নেরা


চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের শীল পাড়ায় ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসের ব*র্বরতম ১১ জনকে পু/ড়িয়ে হত্যা করা হয়। দেখতে দেখতে ইতিহাসের বর্ব*রতম বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ার ১১ হ*ত্যার ২২ বছর পার হলেও স্বজন হারার বিচার বিচার পাবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করে মামলার বাদী বিমল কান্তি শীল ও তার ছোট ভাই শিক্ষক নির্মল শীল। তাদের দাবী দেখতে দেখতে ২২ বছর পার হয়েছে,আর কতদিন লাগবে স্বজন হারা ১১জনের বিচার পেতে ? গতকাল র‌বিবার সরজমিনে পরিদর্শনকালে দেশের আলোচিত পোড়া বাড়ি খ্যাত বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ায় ১১ হ/ত্যার সমাধিস্থল ও স্মৃতি সৌধের এলাকায় গেলে নীরবতা লক্ষ্য করা যায়। কথা হয় মামলার বাদী নিহত তেজেন্দ্র শীলের পুত্র বিমল কান্তি শীল এর সাথে। ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের শীলপাড়ায় তেজেন্দ্র লাল শীলের বাড়িতে একই পরিবারের ১১ জনকে পু/ড়িয়ে হ°ত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নির্মম খু*নের শিকার হয়েছিল তেজেন্দ্র লাল শীল(৭০), তার স্ত্রী বকুল বালা শীল (৬০), ছেলে অনিল কান্তি শীল (৪২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি রাণী শীল (৩০), তাদের মেয়ে মুনিয়া শীল (৭) ও রুমি শীল (১১), চারদিন বয়সী শিশু কার্তিক শীল, তেজেন্দ্র শীলের ছোট ভাই শচীন্দ্র শীলের মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদী শীল (১৭),অ্যানি শীল (১৫) এবং বান্দরবান থেকে বেড়াতে আসা তেজেন্দ্র শীলের বেয়াই দেবেন্দ্র শীল (৭৫)। 


বাঁশখালীর সাধনপুর ইউনিয়নের শীল পাড়ায় ২০০৩ সালের ১৮ নভেম্বর রাতে বাংলাদেশের ইতিহাসের ব*র্বরতম ১১ জনকে পু/ড়িয়ে হত্যা করা হলে সেটা নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয় ॥ শুরুতে এ হ;ত্যা ৪০৬/২০০৬ মামলার বাদী নিহত তেজেন্দ্র শীলের পুত্র বিমল কান্তি শীল হলেও পরবর্তীতে সেটা সরকার বাদী মামলাতে পরিণত হয়। মামলায় ৩৭ জন আসামির মধ্যে ২৪ জন জেলে গেলে ও তারা বর্তমানে হাইর্কোট থেকে জামিন নিয়ে মুক্ত জীবন যাপন করছে। অপর পলাতক আসামিরা ও নানা ভাবে জামিন নিয়ে বর্তমানে মুক্ত জীবনে রয়েছে বলে সুত্রে জানা যায়। অপরদিকে মামলায় সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৫৭ জনকে সাক্ষী দেওয়া হলেও দীর্ঘ ২২ বছরে ২৮ জন সাক্ষীর সাক্ষী গ্রহণ করা সম্ভব হয়, বাকীদের নেওয়া হয়নি নানা অজুহাতে।


এদিকে গত ২০২২ সালের জুলাই ১১ হ*ত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বিমল কান্তি সুশীল,সুনীল কান্তি শীল,নির্মল কান্তি শীল ৩ জনকে প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে ১৫ লক্ষ টাকা করে ৪৫ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করলে তিন ভাই পৃথক তিনটি বাড়ি নির্মান করে। গতকাল র‌বিবার সরজ‌মি‌নে ঘটনাস্থল প‌রিদর্শণ কা‌লে প্রতি‌বে‌শী বাবুল শীল জানান,পৃথক তিন‌টি

বা‌ড়ি নির্মাণ শে‌ষে আনুষ্ঠানিক ভা‌বে প্রবেশ ক‌রে‌ছে কিছু‌দিন আ‌গে । তি‌নি আ‌রো জানান ১১জন হ*ত‌্যার মৃত‌্যুবা‌র্ষিকী উপল‌ক্ষে ধর্মীয় কার্যা‌দি পাল‌নের প্রস্তু‌ত্তি নেওয়া হচ্ছে ।


তবে সেদিনের ঘটনায় তেজেন্দ্র শীলের বাড়িতে রাত যাপন করা ছোট ভাই শচীন্দ্র শীলের ৩ মেয়ে বাবুটি শীল (২৫), প্রসাদী শীল (১৭), অ্যানি শীল (১৫) আ*গুনে পু/ড়ে মারা গেলেও তাদের সরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা করা হয়নি। তারা ও সহযোগিতা পেতে নানা সময়ে আবেদন নিবেদন করলেও কোন ধরনের সহযোগিতা পায়নি বলে অভিযোগ করেন।


মামলার ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি এডভোকেট আশরাফ হোসেন চৌধুরৗ রাজ্জাক বলেন, মামলাটির অক্টোবরেও শুনানীর তারিখ ছিল। সাক্ষীদের হাজির করার প্রসেস চলছে,আশা রাখি সাক্ষীদের সাক্ষীগ্রহণের শেষে একটি যথাযথ রায় প্রদান করা হবে বলে তিনি জানান।


বাঁশখালীর সাধনপুরের শীলপাড়ায় ১১ হ*ত্যার ২২ বছর পার হওয়া, বিচার প্রক্রিয়া এবং মৃত‌্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিমল কান্তি শীল বলেন, দীর্ঘ সময় মামলার পিছনে সময় দিতে দিতে আর পেরে উঠছিনা। অনেক সময় মামলার দিন থাকলেও নানা কারণে হাজির হওয়া কষ্ট হয়। সাক্ষীরা সবাই সাক্ষী এখন ও শেষ হয়নি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি একটু খারাপ হওয়াতে মামলার অগ্রগতি নিয়ে ও তেমন সময় দিতে পারেনি বলে তিনি জানান। তারপরেও স্থানীয় জনগণকে সাথে হ/ত্যাকাণ্ডের ২২ বছর পূরণ উপলক্ষ্যে পারিবারিক কিছু ধর্মীয় কার্যাদি পালন ছাড়া বৃহৎ কোন অনুষ্ঠান করা হবে না বলে তিনি জানান।

https://www.amadershomoy.com/country/article/165573#gsc.tab=0

[কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম)প্রতি‌নি‌ধি,আমাদের সময়]


© বাংলাদেশ অগ্নিবীর [ঈষৎ সংশোধিত]

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন